বেলুনটা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল আয়নোস্ফিয়ার ভেদ করে অনেক উপরে, সূর্যের কাছাকাছি – আফ্রোদিতির সব সৌন্দর্য গায়ে মেখে। ভেতরে ঝোলানো ছিল আমাদের উজ্জ্বল বর্ণমালা – অ, আ, ক, খ। দেয়ালে, ভাষা আর স্বাধীনতার সৈনিকদের পবিত্র ম্যুরাল আর অভ্যন্তরে মন্দ্রিত, দৈববাণীর মত বজ্র কণ্ঠ – এবারের সংগ্রাম ......। আহা, কি উজ্জ্বল, কি বর্ণময় আমাদের শ্লাঘার সৌধ!
অতঃপর - ফুলের কীটের মত কতিপয় লোভী ষড়যন্ত্রী উইপোকা হয়ে, আমাদের গর্বের প্রতীককে বানিয়ে ফেলল তাসের ঘর। ক্ষুধার্তের হাহাকার, নির্যাতিতের মর্ম বেদনা আর সর্বহারার ক্রন্দন একেকটি টমাহক হয়ে বেলুনের গায়ে ঝরে পড়লো বৃষ্টির ছাটের মত। আমাদের গৌরবের স্মৃতিচিহ্ন নেমে এলো মেসোস্ফিয়ার হয়ে ট্রটোস্ফিয়ারের সিঁড়ি বেয়ে পৃথিবীর মলিন ধুলায়।
দেখো, একদল লোক হেটে যাচ্ছে জম্বির মতো ওরা দুঃখকে নিয়ে বিলাস করে, পায়ের শৃঙ্খলকে ভাবে অলঙ্কার, দাসত্বকে বিনয়, কষ্ট ও মৃত্যু ওদের কাছে অদৃষ্ট লিখন এবং আত্মবিশ্বাস প্রাগৈতিহাসিক কোন শব্দ।
মরুভূমির বুক চিরে কবে ফিরে আসবে প্রত্যয়ের স্রোতস্বিনী, আর বিশাল আকাশে আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে আমাদের পুষ্পিত অহংকার?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমেদ সাবের
ধন্যবাদ সালেহ মাহমুদ, কবিতাটা পড়বার জন্য। আপনার মাপের একজন লেখকের কাছে আমার নগণ্য কবিতাটা ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম। আয়নোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার হয়ে ট্রটোস্ফিয়ার হল বায়ু মণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের নাম। আমার কাছে ইংরেজি-বাংলা অভিধান বা পরিভাষার কোন বই নেই। তাই, ইচ্ছা থাকলেও বাংলা প্রতিশব্দ ব্যাবহার করতে পারিনি।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।